ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের রায় দিল হাইকোর্ট, ছাত্রীদের পক্ষে লড়ে হারলেন সুমন

May 21, 2024 - 21:52
 0
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের রায় দিল হাইকোর্ট, ছাত্রীদের পক্ষে লড়ে হারলেন সুমন
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের রায় দিল হাইকোর্ট

হাইকোর্ট ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে রায় দিয়েছেন। ব্যারিস্টার সুমন আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ের ফলে আদালতে হেরে গেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, যিনি ১৬৯ শিক্ষার্থীর পক্ষে ছিলেন। তার প্রত্যাশা ছিল, রায় শিক্ষার্থীদের ভর্তির পক্ষে আসবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকেই রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয় এবং বিকেল সাড়ে ৩টায় হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। পুরো সময় এজলাস কক্ষেই উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, "আমি মানুষ তো! আমি একা হেরে গেলে যতটা কষ্ট পাই, তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট পাই যখন দেখি আমার সঙ্গে থাকা মানুষগুলো হেরে যায়। তবে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেব।"

হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেখানে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের একজন প্রতিনিধি ও বুয়েটের একজন আইটি এক্সপার্ট থাকবেন। এছাড়া প্রথম শ্রেণিতে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়, ১৬৯ শিশুর ভর্তি নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, এতে অভিভাবকরাও দায় এড়াতে পারেন না। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান এবং রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও আইনজীবী শামীম সরদার। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম।

গত ১৯ মে প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিশুর ভর্তি কেন বাতিল হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষে আজকের দিন রায়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগে, গত ১৪ জানুয়ারি দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক নির্দিষ্ট বয়সের বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগে রিট দায়ের করেন। এরপর ২৩ জানুয়ারি আদালত রুল জারি করে ভর্তি বাতিলের আদেশ দেন এবং মাউশির নির্দেশনায় ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়। পরে ১৩৬ জন অভিভাবক আবারও রিট দায়ের করেন এবং ২৫ মার্চ হাইকোর্ট রুল জারি করেন। অবশেষে, রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করা হয়।



What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow