কয়রায় জামায়াতে ইসলামীর নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান

Nov 20, 2024 - 23:19
 0  203
কয়রায় জামায়াতে ইসলামীর নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান
কয়রায় জামায়াতে ইসলামীর নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান

গত ১৮ নভেম্বর বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে "ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট, স্কুল শিক্ষককে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগের" যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন  সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তার তিব্র নিন্দা ও  প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে  বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কয়রা উপজেলা শাখা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) কয়রা উপজেলা জামায়াতের  আমীর মাওঃ মিজানুর রহমান ও সেক্রেটারী শেখ সায়ফুল্যাহ৷ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানান, সংবাদে বর্ণিত উত্তর বেদকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাময়িক বরখস্ত প্রধান শিক্ষক বিএম হুমায়ুন কবীরকে তুলে নিয়ে মারধর ও হেনস্তার খবরটি সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে পরিবেশন করা হয়েছে।বস্তুত জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে জনমনে সংশয় ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এধরনের অসত্য খবর পরিবেশন করা হয়েছে। পত্রিকায় উল্লিখিত সাময়িক বরখস্তকৃত শিক্ষক হুমায়ুন কবীরকে কোন প্রকার হেনস্তা ও মারধর করা হয়নি।

প্রকৃত ঘটনাটি হলো সাময়িক বরখস্তকৃত শিক্ষক হুমায়ুন কবীর তার ফেসবুক আইডিতে বর্ষীয়ান জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভাষায় পোস্ট দিলে শিক্ষক হুমায়ূন কবীরের নিজ গ্রামের লোকজনের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তিকর উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমীর মাওঃ মিজানুর রহমান জানতে পেরে কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করে বিষয়টি সুরাহ করার অনুরোধ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হুমায়ুন কবীরকে তার কার্যালয়ে ডেকেপাঠান। সেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস, থানার অফিসার ইনচার্জ 

ইমদাদুল হক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার তপন কুমার কর্মকার, উপজেলা আমীর মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শিক্ষক হুমায়ুন কবীর বর্ষীয়ান আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার ভুল স্বীকার করেন। তখন কর্মকর্তাদের পক্ষথেকে তাকে উক্ত পোস্ট মুছে দিতে বলা হয় এবং ভবিষ্যতে কারও বিরুদ্ধে এমন মানহানীকর পোস্ট প্রদান করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয় এবং বিষয়টি চূড়ান্ত নিঃস্পত্তি করা হয়। এমতাবস্থায় একটি নিঃস্পত্তিকৃত বিষয় নিয়ে অসত্য কাহিনীর অবতারনা করে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হেয় প্রতিপন্ন করে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় উদ্দেশ্যমূলক ভাবে সংবাদ পরিবেশন করায় উপজেলা জামায়াতের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।



What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow