বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে পাঁচ টাকায়

Apr 3, 2024 - 16:16
 0  88
বাঁধাকপি  বিক্রি  হচ্ছে  পাঁচ  টাকায়

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মৌসুমের শেষভাগে এসে প্রতি পিস বাঁধাকপি পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কমলেও ক্রেতার অভাবে বিক্রি হচ্ছে না বাঁধাকপি। এতে আর্থিক লোকসানসহ বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। তবে দাম কম হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার পাইকারি সবজি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে বাঁধাকপির স্তূপ করে রেখে ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করছেন কৃষকরা। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের একটি বাঁধাকপির পাঁচ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বাসাবাড়ির জন্য মানুষ দুয়েকটি কিনলেও পাইকারি ক্রেতা মিলছে না।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার পৌর এলাকাসহ সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এক হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রতি হেক্টরে এক দশমিক ৫ মেট্রিক টন হিসেবে মোট ২ হাজার ৬২৫ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ফুলকপি ৩৬০ হেক্টর এবং বাঁধাকপি ৩৭৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।বাঁধাকপি বিক্রি করতে আসা উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের ভিমলপুর গ্রামের কৃষক মিলন হোসেন বলেন, ৩০ শতক জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছি। মৌসুমের শুরুতে আশানুরূপ দাম পাওয়া গেলেও এখন একটি কপি পাঁচ টাকা দাম রাখলেও পাইকারি ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। ২১৫টি বাঁধাকপি রিকশাভ্যানে আনতে ভাড়া দিতে হয়েছে ৬৫ টাকা। বিক্রি না হলে কপিগুলো ফেরত নিতে আবার ১০৫ টাকা খরচ হবে। তবে এখন পর্যন্ত বিক্রি করেছি মাত্র ৮৫ টাকা।

খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের মুক্তারপুর ডাঙা গ্রামের বাঁধাকপি চাষি হাবিবুর রহমান বলেন, মৌসুমের প্রথমে বাঁধাকপির দাম বেশি পাওয়ায় লাভের আশায় মৌসুমের শেষ দিকে ২৫ শতক জমিতে বাঁধাকপি রোপণ করেন। কিন্তু এখন সেই কপি গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাইকারি বাজারে একটি কপি পাঁচ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে না। এতে আর্থিকভাবে লোকসানে পড়েছি। রনি প্রসাদ নামের এক ক্রেতা বলেন, পাঁচ টাকায় দুটি বাঁধাকপি কিনেছি। একটি কপি বাসার লোকজন খাবেন আর অন্যটি চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে দিব। তবে সব সবজির দাম যদি এই পর্যায়ে থাকতো তাহালে সাধারণ ক্রেতারা স্বস্তিতে থাকতেন।

পাইকারি সবজি বিক্রেতা রাজু আহমেদ বলেন, বাজারে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে বাঁধাকপি আমদানি হওয়ার পাশাপাশি বাইরের পাইকারদের কপি কেনার চাহিদা কমে যাওয়ায় বাঁধাকপির দাম কমে এসেছে। খুচরা বাজারেও তেমন বাঁধাকপির বিক্রি নেই বললেই চলে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শাহানুর ইসলাম বলেন, এখন আসলে রবি মৌসুম শেষের দিকে। মৌসুম শেষ হওয়ায় এমনটা হচ্ছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে বাঁধাকপি চাষাবাদ হয়েছে।



What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow