দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ভোট প্রার্থনা চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার-আতাউর রহমান বাচ্চু
নড়াইল জেলার কৃষক, যুবক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধানে সুস্পষ্ট ও বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দলজিৎপুর গ্রামে আয়োজিত এক নির্বাচনী প্রচারসভায় এসব পরিকল্পনা তুলে ধরেন জেলা জামায়াতের আমির আতাউর রহমান বাচ্চু।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে দলজিৎপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী প্রচার সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আতাউর রহমান বাচ্চু। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শাহাবাদ মাদরাসা নির্বাচনী কেন্দ্রের পরিচালক মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল সদর উপজেলা জামায়াতের আমির হাফেজ আব্দুল্লাহ আল আমিন, যুব বিভাগের সভাপতি মোহাম্মদ খিয়াম উদ্দিন, শাহাবাদ ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মো. হাসান আলী, নড়াইল সদর উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি আব্বাস আলী, সদর উত্তর থানা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি সাদ আহমেদ বেলালসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সভায় পর্দার আড়ালে উপস্থিত ছিলেন দলজিৎপুর ওয়ার্ড জামায়াতের বিপুল সংখ্যক নারীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতাউর রহমান বাচ্চু বলেন, নড়াইলের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষি হলেও কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি বদলে দিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে কৃষি প্রশিক্ষণ টিম গঠন, আধুনিক চাষাবাদে প্রশিক্ষণ এবং কৃষি তথ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগী চক্র দমন করে সার বীজসহ কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, যুব সমাজে বেকারত্ব আজ এক বড় সামাজিক সংকট। গবাদিপশু পালন, হাঁস-মুরগি ও মাছ চাষ, কৃষিভিত্তিক ফার্মসহ বিভিন্ন খাতে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে যারা পুঁজি সংকটে থাকবেন, তাদের স্বনির্ভর করতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি নড়াইলে জুট মিল, শিল্প নগরী ও ইপিজেড স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা হাজারো যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা আজ ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বড় বাধা। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজি ও মাদককে সম্পূর্ণ নির্মূল করে নিরাপদ ও ন্যায়ভিত্তিক ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা হবে।
মাঠজুড়ে নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে নির্বাচনী প্রচারসভাটি উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়। সমাপনী বক্তব্যে জামায়াত নেতৃবৃন্দ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।