হাত-পা কেটে নদীতে ফেলে দেব’—সাংবাদিককে যুবলীগ নেতার ভয়ভীতি, থানায় জিডি

ঘটনাটিকে ভুক্তভোগী সাংবাদিক তার ও পরিবারের জীবনের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখছেন।

ইতিমধ্যে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

দৈনিক খুলনাঞ্চল পত্রিকার কালিয়া উপজেলা প্রতিনিধি ও কালিয়া প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বাবলু মল্লিক (৩৯) জানান, রবিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে আলম কাজী নান্টু (৪৫) অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে নিয়ে তার বাড়িতে যান।

সে সময় তিনি বাড়িতে না থাকলেও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন অভিযুক্তরা।

পরে বাবলু মল্লিক ফোনে নূরে আলমের সঙ্গে কথা বললে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পর সাংবাদিকতা ছাড়ার হুমকি পান।

না ছাড়লে ‘হাত-পা কেটে নদীতে ফেলে দেওয়ার’ ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগও রয়েছে জিডিতে। বাবলু মল্লিক বলেন, “হুমকির পর থেকে আমি ও আমার পরিবার চরম আতঙ্কে রয়েছি। যেকোনো সময় ক্ষতি করা হতে পারে।”

এ বিষয়ে নড়াগাতী থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, “ঘটনাটি জিডি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা নূরে আলম কাজী নান্টু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কোনোভাবেই তাকে হুমকি দিইনি। বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক।”

কালিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোর্শেদ জানান, “এটি সাংবাদিকের নিরাপত্তায় সরাসরি আঘাত। আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং দ্রুত তদন্তপূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।”

স্থানীয় সাংবাদিক মহল মনে করছে, এ ধরনের হুমকি মুক্ত সাংবাদিকতার জন্য গভীর সংকেত বহন করছে। দ্রুত ও সঠিক তদন্ত না হলে এর প্রভাব সারাদেশের সাংবাদিক সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।